আধ্যাত্মিকতা
ভূমিকা
আমরা সকলেই অনুসন্ধানী এবং আমাদের লক্ষ্য এক, অভিন্ন হৃদয়ের শান্তি প্রদীপ এবং আনন্দ অনুভব করা, আমাদের উৎস পরম আত্মার সাথে অবিচ্ছিন্নতা এবং সত্যিকার পরিতৃপ্তির সাথে জীবনযাপন করা। হৃদয়-মনের মধ্যে বাঁচা মানেই আনন্দের মধ্যে বাঁচা। এভাবে বাঁচার মাধ্যমেই নিজেকে জানার পথ-নির্দেশ পাওয়া যায়। নিজেকে অনুধাবন করাই পরম ঈশ্বরকে অনুভব করা। কারণ, আমাদের হৃদয়ের গভীরেও যে দেবোত্তম গুনাবলী আছে সে তো ভিন্ন কিছু নয়। যা শুধু অপেক্ষা করছে অনুসন্ধান এবং প্রকাশের। আমরা ঈশ্বরকে আমাদের ভিতরের চালিকাশক্তি অথবা মহোৎকৃষ্ট, মহোত্তম আত্মা হিসেবে কল্পনা করতে পারি। কিন্তু, কোন নামে তাকে আমরা সম্মোধন করবো সেটা কোন বিশেষ ব্যাপার নয় - আমরা বোঝাতে চাইছি তাকে আমাদের ভিতরের সর্বোত্তম অবস্থা যা আধ্যাত্মিকতার অনুসন্ধানের সর্বশেষ লক্ষ্য।
একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি একজন স্বাভাবিক শান্ত মানুষ। ঈশ্বরকে পেতে হলে একজন আধ্যাত্মিক গুনাবলীসম্পন্ন মানুষকে দৈনন্দিন কার্যপ্রণালী সম্পাদনের সময়ে স্বর্গীয় গুনাবলীর সমনবয়ে করতে হয়। স্বর্গীয় গুনাবলীর এই ব্যবহারিক প্রয়োগের সময়ে আমরা আমাদের প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন সমৃদ্ধশালী আত্মার সাহায্য নিয়ে থাকি এবং প্রত্যেক ব্যবহারিক কর্মসম্পাদনের সময়ে আমরা এক ধরনের স্বর্গীয় প্রেরণা পাই এবং অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার তাগিদ অনুভব করি। আধ্যাত্মিকতা কখনোই বহির্জগতের পরিপন্থী নয়। বরং বহির্জগতেই প্রকাশিত ও উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে আমাদের স্বর্গীয় আত্মার প্রতিরূপ।
- শ্রী চিন্ময়, মহানন্দের পথে
Except where explicitly stated otherwise, the contents of this site are licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivs 3.0 Unported License. read more »
SriChinmoyCentre.org is a Vasudeva Server project.